• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

 গুজব-গণপিটুনি রোধে হাইকোর্টের ৫ দফা নির্দেশনা

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশে গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে জারি করা রুলের রায় প্রদানকারী বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশ করা হয়।

রিটকারী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ১ মার্চ হাইকোর্ট ৫ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রদান করেন হাইকোর্ট। গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় প্রদান করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

পাঁচ দফা নির্দেশনা হলো:

১. গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম ইলেকট্রনিক এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখবে।

আরও পড়ুন: অনলাইনে গুজব রোধে টিম তৈরি করছে আ.লীগ

২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা, যা গুজব সৃষ্টি যা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যে দুষ্কৃতকারীরা এ কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৩. যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে, কোনো রকম দেরি না করে তখনই থানার ওসি এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন এবং দ্রুত সার্কেলের মনোনীত বিশেষ অফিসারকে অবহিত করবেন।

৪. দেশের প্রতিটি থানার তদন্তকারী সার্কেল অফিসার এ ধরনের মামলাগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তিন মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত সমাপ্ত করবেন।

৫. গণপিটুনিতে হত্যার আগে তাসলিমা বেগম রেনু উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হেফাজতে ছিল সুতরাং উক্ত প্রধান শিক্ষক তার পদে থাকার উপযুক্ত কিনা তা ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতায় রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান আদালত।

একটি গুজবকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।

পূর্বপশ্চিম- এনই

গুজব,গণপিটুনি,হাইকোর্ট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close